হাসপাতালে কাজে যাওয়ার পথে নার্সকে চড় পুলিশকর্মীর , বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস

30th April 2020 হুগলী
হাসপাতালে কাজে যাওয়ার পথে নার্সকে চড় পুলিশকর্মীর , বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস


বিশেষ সংবাদদাতা : হুগলীর সিঙ্গুর থেকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে কাজে যাওয়ার পথে পুলিশের অভব‍্য আচরনের শিকার হলেন এক নার্স । পরিচয় জানানোর পরেও মহিলা পুলিশকর্মী চড় মারেন নার্সকে । ঘটনার সময়কার ভিডিও ভাইরাল সোশাল সাইটে । বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন নার্স এর গায়ে অহেতুক হাত তোলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছেন সকলেই । বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর । 

জানা গেছে , স্কুটিতে করে সিঙ্গুর থেকে ওই নার্স চন্দননগর হাসপাতালে যাওয়ার সময় তার পথ আটকায় পুলিশ । নার্স পরিচয় দেওয়ার পরেও তা শুনতে চাননি তিনি । এমনকি যে নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র রয়েছে তা দেখানোর পরেও অস্বীকার করেন । কথার মাঝেই ওই পুলিশকর্মী নার্সের গালে চড় মারেন । এখানেই শেষ নয় । তারপর ওই নার্সকে নিয়ে আসা হয় থানায় । হাসপাতাল সুপারের হস্তক্ষেপে পরবর্তী সময়ে ছাড়া হয় তাকে । যে সময়ে হাসপাতালে পরিষেবা দেবার জন‍্য কাজ করছেন নার্স সহ চিকিৎসকরা , অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে তাদের , সেইরকম সময়ে পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ কর্মীর হাতে চড় খাওয়ার ঘটনায় হতবাক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই নার্স । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।